আমাদের কথা
বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলায় অবস্থিত একটি স্বনামধন্য মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি দীর্ঘ এক শতাব্দী ধরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে চলেছে। বিদ্যালয়টি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত এবং সরকার স্বীকৃত একটি এমপিওভূক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয় এবং এখানে বিজ্ঞান মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ চালু রয়েছে। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবস্থিত এই বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, শৃঙ্খলা এবং আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে।
যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দের নিবিড় তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি সহপাঠ কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়। বিদ্যালয়ে রয়েছে সুশৃঙ্খল রুটিন, শ্রেণিকক্ষ, বিজ্ঞানাগার, পাঠাগার, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্লাবসহ আধুনিক ব্যবস্থাপনা।
বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি নৈতিক মূল্যবোধ-ভিত্তিক শিক্ষার প্রতীক —যা আগামী প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
কুমিল্লা জেলার শতবর্ষের আলো ছড়ানো ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় ২০২১ সনে শত বৎসর পূর্ণ করে। অজ্ঞানতার অন্ধকারে আচ্ছন্ন জনপদকে জানের আলোয় উদ্ভাসিত করার লক্ষ্যে এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শুরুটা ছিল বন্ধুর ও কন্টকাকীর্ণ।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপরই বিভিন্ন এলাকায় হাতে গোনা কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়ে শিক্ষার আলো বিতরণ শুরু করে। তার মধ্যে অন্যতম প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয় ১৯২১ সালে। ঐতিহ্যবাহী বাগমারা বাজারের সন্নিকটে ডাকাতিয়া এবং গুইঙ্গাজুরির তীরবর্তী স্থানে কতিপয় শিক্ষানুরাগী মহৎপ্রাণ, তাঁদের মেধা, শ্রম ও অর্থ ব্যয় করে এলাকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে ১ জানুয়ারি ১৯২১ খ্রি. তারিখে প্রতিষ্ঠিত করেন আমাদের কৈশোরের স্মৃতি বিজড়িত এই বিদ্যাপীঠ।
শতবর্ষ পূর্বে বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় নামক এই জ্ঞানবৃক্ষটি বপন করার ক্ষেত্রে এই এলাকার যেসকল জ্ঞানী, ত্যাগী ও শিক্ষানুরাগী মহৎ ব্যক্তিগণ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম জনাব মৌ. অছিমুদ্দিন (এম.এল.এ), জনাব পন্ডিত জমির উদ্দিন ভূঁঞা, জনাব আমজাদ আলী ডাকপিয়ন, জনাব হাজী চাঁন মিয়া, জনাব মোঃ রাজা মিয়া প্রমুখ।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
লক্ষ্য (Mission):
শিক্ষার্থীদের নৈতিক, মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ঘটিয়ে আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা, যারা জাতির উন্নয়ন ও সমাজ পরিবর্তনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।
উদ্দেশ্য (Objectives):
✅ মানসম্মত ও আধুনিক শিক্ষার সুযোগ প্রদান।
✅ শিক্ষার্থীদের মাঝে শৃঙ্খলা, সততা ও দেশপ্রেমের মানসিকতা সৃষ্টি।
✅ তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন।
✅ সহ-পাঠ কার্যক্রম, ক্রীড়া, বিতর্ক ও সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত করা।
✅ পরিবেশবান্ধব, মানবিক ও মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক গড়ে তোলা।
✅ শিক্ষা ক্ষেত্রে জেন্ডার সমতা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া।
✅ জাতীয় শিক্ষা নীতির আলোকে মাধ্যমিক শিক্ষার বিস্তারে ভূমিকা রাখা।